বিহঙ্গ বুনিছে তার আপন আলয়

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ২২, ২০১৫ সময়ঃ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:১৯ অপরাহ্ণ

পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন। কবি জীবনানন্দ, বনলতা সেনের চোখে পাখির নীড়ের মতো কোলাহলমুক্ত শান্তির নীড় দেখতে পেয়েছিলেন। জানিনা কোন পাখির ঘরবাঁধা দেখে কবির একথা মনে হলো। তবে আজ আমরা এক ভীনদেশি পাখির নিপুণ ঘর বোনার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি দেখব।

আলজেরিয়ায় এক বৃদ্ধ দম্পতির ঘরের জানালার বাইরে আরেক স্বপ্নাতুর পাখিযুগল তাদের নীড় তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যদিও এই রসিক পাখিজুটি চিরচেনা এক অপূর্ব রহস্যেঘেরা শৈল্পিক আবহে নির্মাণ করছিল ছোট্ট একটি শান্তির নীড়। তবে তাদের ভাবলেশহীন গতিবিধি দেখে বেশ বোঝাই যাচ্ছিল; এই পাখি আর পাখিনীর অনুমতি নেয়ার লেশমাত্র বালাই নেই। তাতে অবশ্য ছিটেফোঁটা বিরক্তিরও ভাব নেই বৃদ্ধ যুগল দম্পতির। বরং তারা আয়েশ করে এ বাসযোগ্য নীড়ের স্থির ও চিরন্তনী সৌন্দর্য দেখার আশায় এক আলোকচিত্রীকে খবর দিলেন। সেই আলোকচিত্রী তাদের বাড়িতে অবস্থান করেন ঠিক ততদিন যতদিন পর্যন্ত নীড় তৈরীর কাজ শেষ হয়নি। সে তাদের অনুসরণ করে ঘন্টার পর ঘন্টা। এরপর পাখিদের নির্মাণশৈলী ও নীড় তৈরীর প্রতিটি কৌশল ক্যামেরায় ধারণ করেন।

ছবি তোলার পাশাপাশি তিনি দেখেছেন, পাখিগুলো প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা কাজ করেছে প্রতি সপ্তাহে; বাকি একদিন বিশ্রাম নিয়েছে। তাদের স্বপ্নের ঘরটি নির্মাণ করতে প্রায় একমাস সময় লেগেছিল । একমাস মাস অপেক্ষার পর অবশেষে ৪০০-৫০০টি ছবি তুলতে পেরেছিলেন ঐ আলোকচিত্রী।কথায় আছে অপেক্ষার ফল সুমিষ্ট হয়।তার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।তাহলে দেখে নিন সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের শৈল্পিক ছবির সমাহার:

part 1

নীড় বাঁধা পাখির স্বপ্নের আলয় গড়ার কাজ শুরু।

part 2

দ্বিতীয় পর্যায়

part 3

তৃতীয় পর্যায়

part 4

চতুর্থ পর্যায়ে সঙ্গিনীকে নিয়েই দেখছে ঘরের কাজ।

part-5

পঞ্চম পর্যায়ে দু-জন এক সাথেই করছে তাদের আপন আলয়ের কাজ।

p 6

ষষ্ঠ পর্যায়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে তাদের কাজ।

p7

সপ্তম পর্যায়

p8

অষ্টম পর্যায়ে এখনও থাকার উপযোগী হয়নি ঘরটি।

p9

নবম পর্যায়।

p10

দশম পর্যায়ে ঘরটিতে থাকা যাবে।

p11

একাদশ পর্যায় ঘরের কাজ শেষের দিকে আর কিছুটা বাঁকি।

p12

দ্বাদশ পর্যায়।

p13

এয়োদশ পর্যায়ে কাজ শেষ। এখন নিজের ঠিকানায় বাস করবে ওরা।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/জেডএমলি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G